নুরুল কবির, বান্দরবান:
টানা প্রবল বর্ষন আর পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমরু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প গুলো আবারো পানিতে তলিয়ে গেছে। বুধবার সকাল থেকে তুমরু খালের পানি বেড়ে যাওয়ায় পানি বন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে পড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার । অনেকেই শিবিরের মাচাং ঘর ও টিলায় অবস্থান করছেন।
এদিকে গতকাল বান্দরবান সদর ও লামার সরইতে পাহাড় ধসে নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, চাল, ডাল, তেল এবং পাবত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা বিতরন করা হয়েছে । বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া বাসিন্দারা এখনো ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদেরকে নিয়মিত ত্রাণ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র মোম্ম্মদ ইসলাম বেবী।
ঢাকা , চট্টগ্রাম,ককসবাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হলেও এখনো দ্বিতীয় দিনের মতো রাঙামাটি ও রুমার উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানিয়েছেন,পাহাড় ধসে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও চাল ডাল তেল দেয়া হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে শরনার্থীদের নিয়মিত ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। ৭টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে ঝুকিপুর্ণ ভাবে যারা বসবাস করছে তাদেরকে সরিয়ে নেয়ার জন্য।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।